Header Ads Widget

Responsive Advertisement

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

 


জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জম্মবার্ষিকী আজ। ১১ জ্যৈষ্ঠ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। প্রত্যেক বছর সারা দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হবে ‘নজরুলজয়ন্তী’।
এ বছর পূর্ণ হলো তাঁর কালজয়ী কবিতা ‘বিদ্রোহী’ রচনার শতবর্ষ।রাজধানীতে সকালে কবির অগণিত অনুরাগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাঁর অন্তিম শয্যায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন মানবতার কবি, সাম্যবাদী কবি, সর্বোপরি বিশ্ববেদনার কবি। সমসাময়িক প্রাবন্ধিক আবুল কালাম শামসুদ্দীন ১৯২৭ সালেই লিখেছেন, ‘নজরুল ইসলাম বেদনার কবি। তাঁহার প্রায় সমস্ত রচনাই বেদনার সুরে ভরপুর। আর্ত-ব্যথিত-উৎপীড়িত মানবমনের ব্যথাকেই তাঁহার রচনার মধ্য দিয়া তিনি ফুটাইয়া তুলিতেছেন। বেদনা ব্যক্তিগত মনের অভিব্যক্তি হইলেও ইহার অনুভূতি বিশ্ববাসীর মনেই খেলা করে।

নজরুল ছিলেন রবীন্দ্রনাথের পরে অন্য একজন কবি, যিনি নতুন কণ্ঠস্বরের মোহনরাগে মোহিত করেছিলেন সমকালের কোনো কোনো কবিকে। অল্প বয়সে লিখতে শুরু করায় নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে, অগ্নি-বীণা এবং ১৯৩০ সালের মধ্যে তাঁর পনেরটি কাব্যগ্রন্থ আত্মপ্রকাশ করে। এজন্যই নজরুল বিশ শতকের কবি হিসেবে চিহ্নিত। অজস্র গানে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন বাংলার সংগীত ভুবন। প্রবর্তন করেছিলেন বাংলা গজল।

বাংলা ১৩০৬ সনের ১১ জ্যৈষ্ঠ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে নজরুল জন্মেছিলেন। তাঁর ডাকনাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। পিতা ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। অভাব–অনটন ছিল শৈশব থেকেই তাঁর নিত্যসঙ্গী। শৈশব থেকেই লেটো দলের বাদক, রুটির দোকানের শ্রমিক এভাবেই পেরিয়ে গেছে এই কবির শৈশব–কৈশোর।

কাজ করেছেন সৈনিক হিসেবে। তিনি সাংবাদিকতা করেছেন। কাজ করছেন এইচএমভি ও কলকাতা বেতারে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে পথে নেমেছেন। শাসকের কোপানলে পড়েছেন, কারারুদ্ধ হয়েছেন কিন্তু নত হয়নি এই কবির উচ্চ শির।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান স্বাতন্ত্র্য মহিমায় সমুজ্জ্বল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন কবির প্রতি একান্ত অনুরক্ত। স্বাধীনতা–পরবর্তী পর্যায়ে তাঁরই ঐকান্তিক আগ্রহে কবিকে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির সম্মানে অধিষ্ঠিত করা হয়। নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তারই প্রতিফলন আমরা পাই জাতির পিতার সংগ্রাম ও কর্মে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, সাম্য, মানবতা, প্রেম ও প্রকৃতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও সৃজনশীল কর্ম জাতির অন্তহীন অনুপ্রেরণার উৎস। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে কবির গান ও কবিতা মুক্তিকামী মানুষকে অনিঃশেষ প্রেরণা জুগিয়েছে।
ঢাকাসহ জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল, কুমিল্লার দৌলতপুর, মানিকগঞ্জের তেওতা, চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা এবং চট্টগ্রামে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ