Header Ads Widget

Responsive Advertisement

শহিদ জননী জাহানারা ইমামের ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আলোচনা সভা


বেলাল হোসাইন বার্তা প্রেরক

শহিদ জননী জাহানারা ইমামের ২৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ২৬ জুন, ২০২২ ইং তারিখে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ২ নং রেল গেট বাসদ কার্যালয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মিমি পূজা দাসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক নিখিল দাস, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক  সুলতানা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন্নাহার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুন্নি সরদার।

আলোচনাসভায় নেতৃবৃন্দ জাহানারা ইমামের জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, জাহানারা ইমাম একজন মুক্তিযোদ্ধার মা থেকে নিজ গুণে লাখো মুক্তিযোদ্ধার মা হয়ে উঠেছেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে হারিয়েছেন তাঁর সন্তান ও স্বামীকে। যখন স্বাধীনতার পরে স্বাধীনতা বিরোধী গোলাম আযমসহ যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করার উদ্যোগ নেয়া হয় তখন তিনি তাঁর শোককে শক্তিতে পরিণত করে ১৯৯২ সালে ৭১ এর  ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করেছেন। ঘাতক বিরোধী সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে  লাখো মানুষের হৃদয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন।  তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণ আদালত সংগঠিত হয় এবং ৭১ এর ঘাতক নেতা গোলাম আযমের ফাঁসির রায় দেয়া হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ঘাতক বিরোধী সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আজও যখন শাসকগোষ্ঠি ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করে, সাম্প্রদায়িক শক্তি নড়াইলে শিক্ষককে জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করে তখন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবেলা করে অসাম্প্রদায়িক  গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাহানারা ইমাম বিশেষভাবে স্মরণীয় বরণীয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ