Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পরীক্ষকদের ভুলে ফল প্রকাশে বিলম্ব


৪১তম বিসিএস
পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্বের কারণ উদঘাটন করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এক্ষেত্রে খাতা মূল্যায়নে পরীক্ষকদের ভুলকেই বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও খাতা মূল্যায়ণে পরীক্ষকদের অবহেলা এবং মূল্যায়িত খাতায় মাত্রাতিরিক্ত ভুলের সংখ্যাও ফল প্রকাশে বিলেম্বের কারণ।

সম্প্রতি পিএসসির এক তদন্ত প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ভবিষ্যতে যেন পরীক্ষকেরা খাতা মূল্যায়নে ভুলের পুনরাবৃত্তি না করেন সেজন্য নতুন গাইডলাইন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে পরীক্ষকদের নিয়ে একটি সেমিনার আয়োজন করেছে পিএসসি।

পিএসসি সূত্র জানায়, ৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশে বিলম্বের কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পিএসসি। কমিটি ৩১৮ পরীক্ষকের গাফিলতি বা দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পায়। পরীক্ষকদের এ ধরনের অবহেলা কীভাবে কমানো যায়, এ নিয়ে তদন্ত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশও করে। সেই সুপারিশের অংশ হিসেবে পিএসসি বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়।

পরীক্ষকদের মূল্যায়ন খাতায় ভুল কমানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিশেষ একটি সেমিনার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেমিনারে অংশ নিতে পরীক্ষকদের ডাকা হচ্ছে পিএসসিতে। বিসিএসের পরীক্ষক হিসেবে এ সেমিনারে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেমিনারে অংশ নেওয়া পরীক্ষকরাই মূলত ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সুযোগ পাবেন।

পিএসসির একজন সদস্য জানিয়েছেন, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতায় যেন একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য পিএসসি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। গত সোমবার (২৯ আগস্ট) থেকে পিএসসি মিলনায়তনে সেমিনারে পরীক্ষকদের খাতা মূল্যায়নের জন্য একটি কমন গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেখানে চাকরিপ্রার্থীদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে পরীক্ষা হয়ে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের খাতা দেখানো হচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষকেরা যেসব ভুল সবচেয়ে বেশি করেন, সেগুলো চিহ্নিত করে দেখানো হচ্ছে। যেসব ভুলের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না, সেগুলোও দেখানো হচ্ছে। যেসব খাতায় পরীক্ষক অনেক ভুল করেছেন, সেই খাতাগুলোর ভুল চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো কেন ও কীভাবে ভুল, তা প্রেজেন্টেশনে দেখানো হচ্ছে।

সেমিনারে প্রতিদিন ১০০ পরীক্ষক অংশ নিচ্ছেন। যেসব পরীক্ষক একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন, পরবর্তী সময়ে বিসিএসের খাতা মূল্যায়নে তাদের আর পরীক্ষক হিসেবে পিএসসিতে রাখা হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, আমরা বিসিএস পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনতে চাই। সাধারণত, লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে পরীক্ষকেরা বেশি ভুল করেন। খাতা দেখতেও বেশি সময় নেন। এ থেকে উত্তরণে পরীক্ষকদের জন্য বিশেষ সেমিনারের ব্যবস্থা করেছি।

সেমিনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানে একটি গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, এতে পরীক্ষকেরা লাভবান হবেন। একই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের জন্য এটি ফলপ্রসূ হবে। ফল প্রকাশে সময় যেমন কম লাগবে, ভুলের পরিমাণও কমে আসবে। যেসব পরীক্ষক সেমিনারে অংশ নেবেন তারাই শুধুমাত্র বিসিএসের খাতা মূল্যায়নের সুযোগ পাবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ