Header Ads Widget

Responsive Advertisement

হাত-পা মাত্রাতিরিক্ত ঘামার কারণ ও প্রতিকার


অনেকেই আছেন যাদের হাত ও পায়ের তালু মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ ঘামে।

আর এই ঘামের কারণে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদের পড়তে হয় নানা রকম সমস্যায়। অফিসে ফিংগার প্রিন্ট দিতে গিয়ে বা কারো সাথে করমর্দন করতে গিয়ে পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও অন্য ইলেক্ট্রনিকস জিনিসপত্র ব্যবহার করতে গিয়ে ভেজা হাতের জন্য শিকার হতে হয় দুর্ঘটনার।

আবার যাদের হাতের সাথে পায়ের তালু ঘামায় তাদেরও পড়তে হয় নানা ঝামেলায়। হাতের থেকে পা ঘামানোটা আরও বেশি জটিল সমস্যা। মোজা পরলে পা ভিজে দুর্গন্ধ হয়। যা নিজের ও অন্যের অস্বস্তি তৈরি করে। মোজা না পরলে পা ঘামার কারণে পছন্দসই জুতা পরতে পারেন না। ঘামে পা পিচ্ছিল হয়ে সমস্যা হয় চলাফেরায়। অনেক সময় পায়ের চামড়া উঠে যায়। দীর্ঘসময় ভেজা থাকার কারণে পায়ে ফাংগাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগও দেখা দেয়।

আসুন জেনে নেই হাত-পা মাত্রাতিরিক্ত ঘামার কারণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে-

হাত-পায়ের তালু অতিরিক্ত ঘামার কারণ
ঠিক কী কারণে আপনার হাত পা ঘামছে তা অজানা। তবে নিম্নলিখিত সমস্যার কারণে হাত বা পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে:

১. অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা,কফি) ও অ্যালকোহল পান করলে অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি থেকে মাত্রারিক্ত ঘাম বের হতে পারে।
২. ব্লাড সুগার লো বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলেও এমনটি হতে পারে।
৩. কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হতে পারে।
৪. মহিলাদের মেনোপজ়ও এর একটা অন্যতম কারণ।
৫. যাদের হাইপারথাইরয়েডইজম আছে।
৬. অতিরিক্ত ঝাঁল বা মশলাযুক্ত খাবার।
৭. হতাশা, দুশ্চিন্তা, পারিবারিক অশান্তি।
৮. উলেন বা পলিস্টারের মোজা, টাইট জুতা অনেক সময় ধরে পরে থাকার কারণেও ঘাম হতে পারে।

প্রতিকার

১. বাজারে অনেক ধরনের অ্যান্টিপারসপিরেন্ট কিনতে পাওয়া যায়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে হাতে ও পায়ের তলায় লাগিয়ে শুতে যান।
২. চা,কফি বা ক্যাফেইনজাতীয় পানীয়র অভ্যেস ত্যাগ করুন।
৩. ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৪. প্রচুর পানি পান করুন।
৫. নিয়মিত দু’বেলা গোসল করুন। কিন্তু গরম পনিতে গোসল করার অভ্যেস পরিহার করুন, এতে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। হাত-পা’য়ে অনেক ঘাম হতে পারে।
৬. পানিতে বার বার হাত-পা ধুয়ে নিন। পানির কলের নিচে কিছুক্ষণ ধরে হাত-পা ধুলে, সাময়িকভাবে কিছুক্ষণের জন্য ঘামানো বন্ধ করা যাবে।
৭. পা ধোয়ার পর কখনও ভেজা অবস্থায় রেখে দেবেন না। শুকনো কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছুন। না হলে পায়ে জীবাণু জন্ম নিতে পারে, গোড়ালি ফেটে যেতে পারে, ঘাম হতে পারে, পায়ে দুর্গন্ধও হতে পারে।
৮. পা ঘামা কমাতে চেষ্টা করুন অন্তত বাড়়িতে খালি পায়ে থাকতে। মেঝে যদি পরিষ্কার থাকে, সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
৯. ভেজা জুতো পরবেন না। পরার আগে পুরোপুরি শুকিয়ে নিন।
১০. অতিরিক্ত টাইট মোজা পরবেন না।
১১. হতাশা, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ কমে গেলে হাত ঘামা বন্ধ হতে পারে।
১২. অতিরিক্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করুন।
১৩. এছাড়াও বর্তমানে আয়োন্টোফোরোরিস, বোটক্স, রেডিয়ো ফ্রিকুয়েন্সি মাইক্রোনিডলিং, সার্জারি সহ নানাবিধ আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে।
হাত-পায়ের তালু ঘামা কোনো গুরুতর রোগ নয়, হতে পারে এটা কোনো রোগের লক্ষণ! তাই এই সমস্যা দেখা দিলে হেলাফেলা না করে অতিসত্বর একজন চর্মরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ এবং চিকিৎসা নিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ