Header Ads Widget

Responsive Advertisement

উত্তরা ফাইন্যান্সের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেলেঙ্কারির অভিযোগে

 


দুই বছর আগে ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বড় আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টসের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন কর্মকর্তারা জানান, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টসের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সমস্ত আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। দু-একদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য চিঠি দেবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন ও নিয়োগ করা বিশেষ নিরীক্ষকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উত্তরা ফাইন্যান্স পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠনে একটি তালিকাও করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক; যা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি অনুমোদনও দিয়েছে। নতুন পরিচালকদের সবাই হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত আর্থিক চিত্র জানতে বিশেষ নিরীক্ষা করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি তদন্ত করে ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার অনিয়ম পায়। যা উত্তরা ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল। ঋণ বিতরণ ও আমানত সংগ্রহের সময় এই অনিয়ম করা হয়। ঋণের সিংহভাগই উত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছিল।


এর আগে, প্রতিষ্ঠানটির ২০১৯ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর ওপর পরিদর্শন করে বিভিন্ন অনিয়ম পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ জুন উত্তরা ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শামসুল আরেফিনকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

উত্তরা ফাইন্যান্সের ২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও শেয়ারবাজারের মার্জিন ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এর মধ্যে ৩৫০ কোটি টাকা জমা হয়েছে উত্তরা ফাইন্যান্সের বিভিন্ন পরিচালকের ব্যাংক হিসাবে। কোনো ধরনের আবেদন, প্রস্তাব বা অনুমোদন ছাড়া পরিচালকদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরাসরি টাকা ছাড় করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমানতকারীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ১ হাজার ২০১ কোটি টাকা। তবে আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে ৩১১ কোটি টাকা।

২০১৯ সাল শেষে অগ্রিম ও আগে পরিশোধ খাতে ঋণ স্থিতি ছিল ৭৯৯ কোটি টাকা। কারা অগ্রিম এত টাকা নিয়েছেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উত্তরা ফাইন্যান্স পরিদর্শনে দেখেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শামসুল আরেফিন কোনো অনুমোদন ছাড়াই ব্যবস্থাপনা ব্যয় শিরোনামে ২৪ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ