Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মেট্রোরেলের অষ্টম ও নবম স্টেশন চালু


 মেট্রোরেলের অষ্টম ও নবম স্টেশন হিসেবে উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন চালু হয়েছে। এ নিয়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের মেট্রোরেলের নয়টি স্টেশনের সবই চালু হলো।

শুক্রবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টায় এ নতুন দুই স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

শেওড়াপাড়া স্টেশনে দেখা যায়, মেট্রোরেলে উঠার উদ্দেশ্যে ছুটির দিনে অনেকে পরিবার নিয়ে বের হয়েছেন।

এক যাত্রী শোয়েব হাসান বলেন, ‘মেয়েটা মেট্রোরেলে ঘুরতে চাচ্ছিলো। তাকে ছুটির দিনে ঘুরতে নিয়ে এসেছি। সে মেট্রোরেলে চড়ে খুবই খুশি।’

অফিসে যেতে মেট্রোরেল ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার অফিস মতিঝিল।

মতিঝিল পর্যন্ত চালু হলে মেট্রোতে করেই অফিসে যেতে পারবো অল্প সময়ের মধ্যেই।’


ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, নতুন দুই স্টেশন চালু করতে দুটি আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। যারা স্টেশন পরিচালনায় সমন্বয় করবে।

উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় মেট্রোরেলের।

এরপর ধাপে ধাপে পল্লবী, উত্তরা সেন্টার, মিরপুর-১০ স্টেশন খুলে দেওয়া হয়।

গত ১৫ মার্চ কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ স্টেশন খুলে দেওয়া হয়।

আগামী জুলাই মাসে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত।

২০১২ সালে এই প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।

২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অর্থাৎ দ্বিতীয় অংশ ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।


এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

তখন সর্বমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। আর সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ