Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ভাতের মাড়, চাল ভেজানো পানির উপকারীতা !

জামাকাপড় কাচার পর তাতে মাড় দেওয়ার জন্যও ভাতের ফ্যান বা মাড় ব্যবহার করা হয় অনেক বাড়িতে।

তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, শুধু রূপচর্চা নয়, শরীরের নানা সমস্যার ঘরোয়া টোটকা হিসাবে প্রাচীনকাল থেকেই চাল ভেজানো পানি,

ভাতের ফ্যানের ব্যবহার হয়ে আসছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কতটা উপকারী এই জিনিস-

১) হজমে সহায়তা করে

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, চালের পানি, ভাতের ফ্যানের মূল উপাদান হল স্টার্চ।

তা হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এ ছাড়াও পেট খারাপ বা ডায়েরিয়ার সমস্যায় ছোট এক গ্লাস ভাতের ফ্যান খেয়ে দেখা যেতেই পারে।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই উপাদান।

২) রিহাইড্রেশন

অতিরিক্ত গরমে ব্যায়াম করার পর শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে।

শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে ভাতের ফ্যান।

ঘামের মধ্যে দিয়ে যে পরিমাণ খনিজ শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়,

সেই ঘাটতি পূরণ করে দিতে পারে এই খনিজ।

৩) ত্বকচর্চার জন্য ভাল

ত্বকের নানা সমস্যায় দারুণ কাজ করে চাল ভেজানো পানি।

বিভিন্ন ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং খনিজে ভরপুর এই জল প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করা হয়ে আসছে।

জেল্লাদার, ব্রণহীন, মুক্তার মতো নিটোল ত্বক পেতে টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে চাল ভেজানো পানি।

৪) চুলের জন্য ভালো

চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগাতে অনেকেই চাল ভেজানো পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নেন।

বিশেষ এই পানিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা চুল মসৃণ করতেও সাহায্য করে।

শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার না করে চাল ভেজানো পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতেই পারেন।

একই কাজ হবে।

৫) ঋতুস্রাবের ব্যথায়

ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটে অসহ্য ব্যথা, যন্ত্রণায় কাহিল হন অনেক মেয়েই।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে ভাতের ফ্যান এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে।

ভাতের ফ্যানে থাকা প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি ঋতুস্রাব চলাকালীন জরায়ুর পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন :

এনএএন টিভি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ