জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে চান্স পাওয়া দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ঘটনায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আজ সকাল ১০টার পর আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা হলেন-বগুড়ার আহনাফ শাহরিয়ার ও ময়মনসিংহের ফয়সাল আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা যায়, রবিবার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আহনাফ শাহরিয়ার।
ভর্তি পরীক্ষার খাতার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন।
আহনাফ লিখিত স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন,
তার এক স্বজনের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় আহনাফের হয়ে ওই স্বজন অংশগ্রহণ করেন।
তিনি ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
ভর্তি পরীক্ষায় তার মেধাক্রম ছিল ২৪৯তম।
একইদিন আরেক শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তি হতে আসেন।
পরীক্ষার খাতার সঙ্গে তারও হাতের লেখার মিল পাওয়া যায়নি।
পরে তিনি প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফয়সাল ‘বি’ ইউনিটে পরীক্ষা দেন।
ভর্তি পরীক্ষায় তার মেধাক্রম ছিল ৪৮তম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন,
গতকাল সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওই দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আমাকে বিভাগ থেকে খবর দেওয়া হলে আমি সেখানে যাই।
পরে ওই দুই শিক্ষার্থী প্রক্সির বিষয়ে লিখিত স্বীকারোক্তি দিলে তাদের নামে থানায় মামলা করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর আলম বলেন,
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আজ সকাল ১০টার পর আসামি আহনাফ ও ফয়সালকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন :
0 মন্তব্যসমূহ