Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

 


ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় আসাদুজ্জামান আসাদ (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এসময় নাহিদ নামের আরেক যুবক আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহে  পৌর শহরের আটানী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আসাদ উপজেলার তারাটী পূর্বপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে এবং প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ নায়েবের ভাতিজা।

তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ গ্রুপে যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি নিহতের চাচাত ভাই কাজী আলমগীর হোসেনের।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আসাদ, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে বসে চা পান করছিলেন।

 এসময় হঠাৎ করে ১৫/২০ জনের একদল যুবক চাইনিজ কুড়াল, রড, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।

 এসময় তারা উপর্যুপুরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আসাদের দুই পা, হাত থেতলে দেয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ড্রেনের ওপর ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

 সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় আসাদের সঙ্গে থাকা নাহিদ নামের অপর এক যুবক আহত হন। 

তাকেও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের চাচাত ভাই কাজী আলমগীর আরও জানান, এ ঘটনার মাস দুই আগেও আসাদকে একবার পিটিয়ে আহত করা হয়।

 সে ঘটনায় থানায় মামলা চলমান রয়েছে। সেই মামলার আসামিদের নেতৃত্বেই আসাদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

 নিহত আসাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সাথে দ্বন্দ্ব ছিল বলেও জানান তিনি।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,

 হত্যার ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


এনএএন টিভি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ