মাঘের বাঘ কাঁপানো শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল মঙ্গলবার চাইতে আজ বুধবার তাপমাত্র ২.৪ ডিগ্রী বেড়ে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্র ৯.০ ডিগ্রীতে।
কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে সকাল ৯ টার দিকে কোন রকম সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই কোন তাপ। ফলে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে বহুগুন। হাড় কাঁপানো এই শীতে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ০ (শূণ্য) ডিগ্রী সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে কষ্টে আছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো। রুটি-রুজির সন্ধানে বাইরে বের হওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ছে তাদের জন্য। বেলা বাড়লেও, তাপমাত্রা বাড়ছে না। ফলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
জেলা প্রশাসন থেকে প্রায় ৩০ হাজারের মতো কম্বল জেলার চারটি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে। এর পাশাপাশি কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন কিছু কম্বল বিতরণ করেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
এদিকে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। গত ১০ দিনে
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ দুই হাজারের উপরে রোগী আউটডোরে চিকিৎসা
নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান।
0 মন্তব্যসমূহ