চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মশার কয়েলের আগুনে হতদরিদ্র পরিবারের ১৪টি ছাগল পুড়ে মারাগেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার হোসেনের ছেলে জয়নালের গোয়াল ঘরে এ আগুন লাগে।
এতে হতদরিদ্র পরিবারের ২লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্হানীয়রা জানান, জয়নাল প্রতিদিনের ন্যায় রাতে গোয়াল ঘরে মশার কয়েল ধরিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইলে কথা বলতে বাইরে বের হলে দেখেন গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণ আসার পূর্বেই গোয়ালে থাকা ১৪টি ছাগল পুড়ে ঝলসে মারা যায়। তবে গোয়ালে থাকা ২টি গরু ও একটি ছাগল বেঁচে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মশার কয়েলের আগুন থেকে প্রথমে গোয়াল ঘরের পাটকাটির বেড়াই আগুন লেগে দ্রুত গোয়াল ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
ভূক্তোভোগী জয়নাল জানার, মঙ্গলবার রাতে গোয়াল ঘরে ১৫টি ছাগল ও ২টি গরু বেধে রেখেছিলাম। পরে সেখানে একটি মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিওবশী নূহুর চিৎকারে জানতে পারি গোয়ালঘরে আগুন লেগেছে। ধারনা করছি মশার কয়েল থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।
কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি আরো বলেন, আমার একমাত্র আয়ের মাধ্যমও গোয়ালঘরে থাকা ১৪টি ছাগল পুড়ে মারাগেল।
একমাত্র জীবিকা নির্বাহের শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা জয়নালের পরিবার।
এদিকে আগুনে ১৪টি ছাগল পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়েছে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাইটিভির সিনিয়র রিপোর্টার এস.কে লিটন।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য তৌফিকুর রহমান টিটু বলেন, জয়নাল অত্যন্ত গরীব। আয়ের একমাত্র সম্বল ১৪টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখের। তিনি একেবারে সহায়-সম্বলহীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আমি প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বৃত্তমানদের প্রতি আহবান জানাবো তার পাশে দাড়িয়ে সাহায্য সহযোগী করার।
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজ বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আবেদন করতে বলেছি। আবেদন পেলে উপজেলা প্রশাসন থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হবে।
এনএএন টিভি / শামসুজ্জোহা পলাশ
0 মন্তব্যসমূহ