চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান চালিয়েছে।
এ সময় অভিযানের খবরে বেশ কিছু অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে পালিয়ে যায় বিক্রেতারা। অভিযানে প্যাথলজিতে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট, অদক্ষ ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারের ফ্রিজে জীবনরক্ষাকারী (অজ্ঞানের) ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তদারকি করার সময় গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্ট কীট, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও টেকনোলজিস্টের সার্টিফিকেট না থাকায় ৩০ হাজার টাকা ও মদিনা ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে জীবনরক্ষাকারী ৪০ অ্যাম্পুল সাক্সা (অজ্ঞান) ইনজেকশন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে আনারুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ণ প্যাথলজী ও আব্দুল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তদারকিকালে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্ট কীট, অপিরষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও টেকনোলজিস্টের সার্টিফিকেট না থাকায় ৩০ হাজার টাকা ও মদিনা ক্লিনিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ থাকার কারনে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ১০ দিনের জন্য ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণার কথা বলা হলেও স্থানীয়দের অনুরোধে তা মওফুক করা হয়।
তিনি আরও জানান, যারা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিদ হাসান, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর গোলাম ফারুকসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল।
এনএএন টিভি / শামসুজ্জোহা পলাশ
0 মন্তব্যসমূহ