Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা


সম্প্রতি ইরাকে বিবাদে জড়িয়ে যাওয়া ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ‘অজ্ঞাত আততায়ী’ এ হত্যা কাণ্ড ঘটায় বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রটি। ফাহাদের আসল নাম গুফরান সাওয়াদি। কিছুটা আঁটসাঁট পোশাকে বিভিন্ন পপ গানের সঙ্গে নেচে টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য পরিচিত ছিলেন ফাহাদ। সেখানে তার হাজার হাজার অনুসারী ছিল।

ফাহাদের ভিডিও ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে’ অবমূল্যায়িত করে বলে রায় দিয়ে গত বছর ইরাকের একটি আদালত ফাহাদকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

এ নিয়ে ইরাকি বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জনসাধারণের শালীনতা ও নৈতিকতা লঙ্ঘন করে অশ্লীল ও অশালীন ভাষা সম্বলিত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র এবং ভিডিও তৈরি ও প্রকাশের অপরাধে সাওয়াদিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

ওই রায়ের পর ইরাক সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা কনটেন্টের উপর নজরদারি করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির কাজ আপত্তিকর কনটেন্ট খুঁজে বের করে সেগুলো তৈরির পেছনে যারা রয়েছেন তাদের দায়ী করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি শনিবার এ খবর প্রকাশ করেছে।

বিবিসি জানায়, শুক্রবার রাজধানীর পূর্বের জাইন এলাকায় নিজের বাড়ির বাইরে ওই হত্যাকাণ্ড হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি তার গাড়িতে ছিলেন। মোটরসাইকেলে করে আসা একজন বন্দুকধারী তাকে গুলি করেন।

ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত একজন নারীকে’ ‘অজ্ঞাত আততায়ী’ হত্যা করেছে। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি ‘বিশেষ তদন্ত দল’ গঠন করা হয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা আল হুররা জানায়, এ হামলায় আরও একজন নারী আহত হয়েছেন।

অতি সম্প্রতি ইরাকের ইনফ্লুয়েন্সার ডালিয়া নাঈমের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন ফাহাদ। অনেকবার প্ল্যাস্টিক সার্জারি করার জন্য যিনি ‘ইরাকি বারবি’ নামে পরিচিত। ডালিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইরাকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফাহাদের ‘গোপন প্রেমের সম্পর্কের বিষয়গুলো’ ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

 

এনএএন টিভি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ