Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নরসিংদী পৌরসভার মেয়র জনবন্ধু শহীদ লোকমান হোসেন হত্যার র্দীঘ ১১ বছর যাবৎ দাবী করে আসছে


স্বর্নপদক প্রাপ্ত নরসিংদী পৌরসভার মেয়র জনবন্ধু শহীদ লোকমান হোসেন হত্যার র্দীঘ ১১ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন সংগঠন বিচারের দাবী করে আসছে।

                                                     নরসিংদী

২০১১ সালের ১নভেম্বর স্বর্নপদক প্রাপ্ত নরসিংদী পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এরই মাঝে পেরিয়ে গেছে ঘটনার ১১টি বছর। অনেকটা ধীরগতিতে চলছে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া, এমন অভিযোগ করেছেন নিহতের ছোট ভাই নরসিংদীর সাবেক পৌর মানবিক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. কামরুজ্জামান কামরুল। সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা,বাংলাদেশ মেয়র সমিতির সভাপতি,নরসিংদী শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হয়ে ছিলেন স্বর্নপদক প্রাপ্ত জনবন্ধু পৌর মেয়র শহীদ লোকমান হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ছোট ভাই আলহাজ্ব কামরুজ্জামান বাদী হয়ে তৎকালীন ১৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মন্ডল প্রায় দীর্ঘ আট মাস তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৪ জুন সালাহউদ্দিনসহ এজাহারভুক্ত ১১ আসামিকে বাদ দিয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এতে মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি শহর আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোবারক হোসেন, এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি নরসিংদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি প্রয়াত আবদুল মতিন সরকার এর ছোট ভাই শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সরকারসহ ১২ জনকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এদিকে অভিযোগপত্র দাখিলের আগেই মোবারক হোসেন মোবা ছাড়া সবাই আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়ে যান। দীর্ঘ সাত বছর পর গত ২০১৮ সালের২৯ অক্টোবর মোবারক হোসেন মোবাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তিনিও বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার অভিযোগপত্রের ওপর বাদীর দায়ের করা নারাজি আবেদন আদালত গ্রহণ করায় পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালত পুনঃতদন্তে শুধু বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে তদন্ত শেষ করে দেন। এ ঘটনায় রিভিশন চেয়ে বাদী জেলা ও দায়রা জজের আদালতে আবেদন করেন। বর্তমানে তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আসাদ আলী বলেন, দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে অভিযোগপত্রের ওপর বাদীর দায়ের করা নারাজি আবেদন আদালত গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আদালত শুধু বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার পুনঃতদন্ত শেষ করে দেন। তাই আমরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেছি। বর্তমানে তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

মামলার বাদী নরসিংদীর পৌর সাবেক মানবিক মেয়র আলহাজ্ব মো. কামরুজ্জামান বলেন, পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি সঠিক ছিল না। সেখানে অভিযুক্ত ১৪ আসামির মধ্যে ১১ আসামিকেই বাদ দেওয়া হয়েছিল। যতদিন পর্যন্ত প্রকৃত আসামিদেরকে বিচারের আওতায় না আনা হবে ততদিন আমরা আইনি লড়াই করে যাব। এদিকে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা,বাংলাদেশ মেয়র সমিতির সভাপতি, স্বর্নপদক প্রাপ্ত নরসিংদীর জনপ্রিয় জনবন্ধু পৌর মেয়র শহীদ লোকমান হোসেন এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে সোমবার (১নভেম্বর) ভোরে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন পরিবারবর্গ, জেলা ও শহর আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,মহিলালীগ,শ্রমিকলীগ,কৃষকলীগ, নরসিংদী পৌরসভা সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ ছাড়াও মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে জনবন্ধু লোকমান হোসেন ফাউন্ডেশন। এ উপলক্ষে বিগত দিনে ১নভেম্বর থেকে মাস ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে থাকে পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডের ৭৫টি স্থানে দোয়া ও গণভোজের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবারও জেলা ও শহর আওয়ামীলীগ বিভিন্ন সহ জনবন্ধু লোকমান হোসেন ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হবে। তারা শহীদ লোকমান হত্যার দাবী করে আসছেন

নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূঁইয়া, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের সহধর্মিণী তামান্না নুসরাত বুবলি-এমপি, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী, নরসিংদীর সাবেক পৌর মেয়র ও নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু, জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শামীম নেওয়াজ, নরসিংদী শহর যুবলীগ সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সোহেল ভুইয়া,জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ভুইয়া,শহর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি পৌরসভা প্যানেল মেয়র নূর মোহাম্মদ খন্দকার পারভেজ ও সাধারন সম্পাদক শেখ তারিকুল ইসলাম ,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক খলিল বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিবুল হাসান মিন্টু,শহর ছাত্রলীগ সভাপতি,শহর ছাত্রলীগ জেলা যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন ভুইয়া,নরসিংদী ওমেন্স চেম্বার অব কর্মাস এর চেয়ারম্যাস ড.মাসুদা সিদ্দিকা রোজা, নরসিংদী জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার লাইলী, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি মোছা: সুমি সরকার ফাতেমা ও সেক্রেটারী ইয়াছমিন সুলতানা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য রুনা বেগম,নরসিংদী শহর আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক বিলকিছ বেগম ও যুগ্ম সম্পাদক এড.ফাতেমা বেগম, নরসিংদী শহর আওয়ামীলীগ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কাজী মেহেরুন্নাহার লাভলী,মহিলা নেত্রী নাজমা আক্তার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ