Header Ads Widget

Responsive Advertisement

উত্তরের সেই ‘রাজাবাবু’ বিক্রি হলো ৮ লাখ ১০ হাজারে


উত্তরের কুড়িগ্রাম জেলার এবারেরে অন্যতম আকর্ষণ ছিলো ‘রাজাবাবু’ । কোরবানিতে বিক্রির জন্য তাকে নিয়ে আসা হয় রাজধানীর উত্তরার বৃন্দাবন হাটে। তবে ১৫ লাখ টাকা দাম চেয়েও শেষ মুহূর্তে গরুর দাম নিচে নেমে গেলে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে এই রাজাবাবুকে।

গরুর বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম নিজে এ সকল তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এ বছর আনুষ্ঠানিক হাট বসার আগেই উত্তরার হাটে উঠে বিশাল আকৃতির এই রাজাবাবু নামের গরুটি।

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর থেকে একটু বেশি দামের আশায় ঢাকার আনেন বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম।

বড় গরু হওয়ায় শুরু থেকে অনেকেই এই গরু দেখতে ভিড় করেন, কেউ ছবি উঠান।

আরও বেশি আকর্ষণীয় ছিল ‘রাজাবাবু’র সঙ্গে লাখ টাকা মূল্যের আরও একটি গরু ফ্রি দেয়ার কথা ছিলো।

তবে ‘রাজাবাবু’ কম মূল্যে বিক্রি হওয়ায় সেই গরুটি আলাদা বিক্রি করা হয়েছে।

গরুটি দেখতে পুরোটাই কালো, মাথা এবং পায়ের অংশ সাদা। গরুর মালিক জাহাঙ্গির আলম  বলেন,

‘আমাদের গরুটা শেষের দিকে পানির দরে বিক্রি করেছি। গরুর দাম কম ছিল। শুরুর দিকে মানুষ দেখে চলে যেতো বড় গরু দাম বলত না।’

‘দু একজন আরও বেশি দাম শুরুতে বললেও ঈদের আগের দিন বৃষ্টিতে গরুর দাম কমে যায়। এরপরও ওইরাতে আট লাখে দশ হাজারে বিক্রি করেছি।’

বাড়িতে ফেরত নিলে লোকসান, লালন-পালন অনেক কষ্ট হত।

কোরবানি ছাড়া এতো বড় গরু বেচাও কষ্ট হতো। তাই ছেড়ে দিছি। ৩ বছর ধরে এই গরু পালন করেছেন জানান জাহাঙ্গীর।

তিনি আরও বলেন বলেন,

‘এলাকা থেকে ১ লাখ দশ হাজারে একটা গরু কিনে আনছিলাম আমার বড় গরুর সাথে ফ্রি দেব বলে। বড় গরুর সাথে কিছু ফ্রি দিতে এলাকার সকলে বলল।’

‘এজন্য প্রথমে খাসি ফ্রি দিতে চাইলাম, পরে ভাবলাম না গরুর সাথে গরুই দেই তবে ঢাকার হাটে এসে দাম দেখে মন খারাপ হয়।’

‘তাই ফ্রি না দিয়ে আলাদা বিক্রি করে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করি।’

আরও পড়ুন:

এনএএন টিভি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ